Header Ads

হাদিস শরীফ কি বলে?

হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “যে ব্যাক্তি নিজের বুদ্ধিকে যথেষ্ট মনে করে, সেই ব্যক্তি গোমরাহ্”
“প্রত্যেক মুসলমান নরনারী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।”
হাদীসে কুদসীতে আলাহ পাক ফরমান, “যে ব্যক্তি আমার অলীদের সংগে দুশমনি করবে, তাকে আমার সংগে যুদ্ধ করার আদেশ দিচ্ছি।”
হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আমার অলীগণ আমার কুদরতের চাদরের মদ্যে আবস্থান করেন, আমি ছাড়া কেউ তাদেরকে হাকিক্বীভাবে চিনেনা।”
হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “মোমেন বান্দার ক্বলব, আলাহর আরশ”।
হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান,“সাবধান”! শরীরের মধ্যে এক টুকরো গোশত পিন্ড রয়েছে, যদি সেটা সংশোধিত হয়, তবে সম¯— শরীরই সংশোধিত হয়, আর যদি খারাপ হয়, তাহলে সম¯— শরীরই খারাপ হয়। মনে রেখ ঐ গোশত পিন্ডটি হল ক্বলব।”
হযরত আবদুন কাদের জিলানী (রঃ) এর “সিরর“ল আস্রার” কিতাবে আছে, হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান,“যে ব্যক্তি ইলমে মারেফাত অর্থাৎ ত্বরিকত শি¶া করা অবস্থায় ইšে—কাল করে, (দাফন করার পর) তাঁর কবরে ২ জন ফেরেশতা পাঠানো হয়। যারা তাকে কিয়মাত পর্যš— ইলমে মারেফাত শি¶া দিতে থাকেন। ফলে সে ব্যক্তি হাশরের মাঠে আলেম ও আশেক হয়ে উঠবে। এ দু’জন ফেরেশতা বলতে নবী ও অলীর রূহানী শক্তিকেই বোঝানো হয়েছে।
হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “কিছু¶ণ আলাহর ধ্যানে বসা, হাজার বছর নফল এবাদতের চেয়ে ও উল্টম”
হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “মোমেনের ক্বলব আয়না ¯^র“প”।
হুজুর (সঃ) এরশাদ করেন, “মোমেন আলাহর পবিত্র নূর দ্বারা দেখে।”
“প্রেমিক যখন আলাহর আলাহ্র নূরে ফানা হয়ে যায়, তখন তার মুখ আলাহ্র মুখ, তাঁর দৃষ্টি আলাহ্র দৃষ্টি, তার পা আলাহ্র পা হয়ে যায়।” তিনি আরো ফরমান, মান-লা-ওয়াজাদা-লাহু-লা-দ্বীনা লাহু অর্থাৎ যার ওয়াজদ নেই, তার ধর্ম নেই।”
হযরত আবু ছায়ীদ খদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ছালালাহু আলাইহে ওয়াছালাম এরশাদ করেছেন, “হে আমার উম্মত! যে ব্যক্তি তোমাদের হতে কাউকে অন্যায় কাজ করতে দেখ, শক্তি থাকলে উহাকে তোমাদের হাত দ্বারা বন্ধ করে দেবে। আর উহাও সম্ভব না হলে অš—তপ¶ে উক্ত অন্যায়কারী ও কাজ উভয়কে ঘৃণা করবে তবে উহা সর্ব নিæ ¯—রের ঈমান”। মুসলিম শরীফ
“হযরত জরীর বিন আবদুলাহ বলেছেন”, আমি ছরকারে দোজাহা ছালালাহু আলাইহে ওয়াছালাম এরশাদ করতে শুনেছি, তিনি বলেন, যদি কোন এলাকার মধ্যে কোন ব্যক্তি কোন পাপ কার্যে লিপ্ত হয়। এলাকাবাসী তাকে বাধা প্রদান করার শক্তি থাকা সত্তে¡ও তাকে বাধা দিলনা। তাহলে এলাকাবাসীর মৃত্যুর পূর্বে দুনিয়াতে তাদের উপর আলাহ যে কোন একটা বিশেষ আজাব অবতীর্ণ করবেন। (আবু দাউদ শরীফ)
হযরত আবু হোরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর আকরাম ছলালাহু আলাইতে ওয়াছালাম এরশাদ করেছেন, যখন আমার উম্মত দুনিয়াকে বড় মনে করবে তখন ইসলামের মর্যাদা তাদের অš—র হতে উঠে যাবে এবং যখন তারা সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ পরিত্যাগ করবে তখন তারা অহির বরকত হতে বঞ্চিত হয়ে যাবে। আর যখন তারা পরস্পরকে গালীগালাজ আরম্ভ করবে তখন আলাহর রহমতের দৃষ্টি হতে মাহরূম হয়ে যাবে। (তিরমিজী শরীফ)
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) বর্ণনা করেন, হযরত ছৈয়্যদুনা আবু জর গেফারী (রাঃ) বলেন, একদা হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রাঃ) আরজ করলেন, হে আলাহর প্রিয় রসূল! আলাহর এমন কতগুলো মোজহেদ জমিনে আছেন, যারা শহীদ হয়ে জিন্দা রয়েছে, আলাহর প¶ হতে রিজিক পায়, তাদের চেয়েও উত্তম। ঐ মোজাহিদ গণ জমিনে চলা ফেরা করেন। অথচ আলাহ তায়ালা এদের ব্যাপারে আসমানের ফেরেশতার সম্মুখে গর্ব করেন। তাদের জন্য জান্নাত সাজানো হয়। হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রাঃ) আবেদন করলেন, হে আলাহর রাসূল! এরা কারা? তদুত্তরে রাসূল আকরাম (দঃ) বললেন, তারা হল সৎ কাজের আদেশ দাতা, অসৎ কাজের নিষেধকারী। অতঃপর এরশাদ করলেন, ঐ সত্তার শপথ যার কুদরতের আওতায় আমার প্রাণ, এরা শহীদগণের ঘর হতে উঁচু ঘরে থাকবেন। প্রত্যেক ঘরের তিনশত খানা এয়াকুত- জমরূদ পাথর দ্বারা নির্মিত দরজা থাকবে, ঘরে আলোক শয্যা থাকবে। এ ধরনের লোকেরা অত্যš— পবিত্র ও সুন্দরী তিনল¶ হুরকে শাদী করবে। তারা কোন একটি হুরের দিকে ল¶্য করলেই সে বলবে আপনি অমুক দিন আলাহরযিক্র করছিলেন, আপনি এভাবে সৎকাজের নির্দেশ দিচ্ছিলেন ও অসৎ কাজের আদেশ দেয়াও অসৎ কাজের নিষেধ কোন হুরের দিকে তাকাবেন, সৎ কাজের বাধা দিচ্ছিলেন। মোট কথা সে যখনই কোন হুরের দিকে তাকাবেন, সৎ কাজের আদেশ দেয়াও অসৎ কাজের নিষেধ করার করণে তাকে আরও উঁচু মর্যাদার স্থান দেখাবেন। (মোকাশঅফাতুল কুলুব)
হযরত হোজাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাহমাতুলিল আ’লামীন (দঃ) এরশাদ করেছেন, ঐ পবিত্র সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা সৎ কাজের উপদেশ দেবে, অসৎ কাজে বাধা প্রদান করবে, নতুবা আলাহ তায়ালা তোমাদের উপর অনতিবিলম্বে আজাব নাজিল করবে,অতঃপর এ আজাব, দূরীভূত হওয়ার জন্য দোয়া করলেও তোমাদের দোয়া কবুল হবেনা। (তিরমীজ শরীফ)
১৭.হযরত আসমা বিনতে ইয়যীদ (রাঃ) কে ইরশাদ করতে শুনেছেন যে, তিনি একদা এরশাদ করেন আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব যে তোমাদের মধ্যে উৎকৃষ্ট (অলী) কে? তারা (সাহবায়ে কেরাম) সকলে আরজি করলেন জি-হ্যাঁ বলুন হে আলাহর প্রিয় রাসুল। তখন তিনি ইরশাদ করলেন তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উৎকৃষ্ট (অলী) যাকে দেখলে আলাহর কথা স্মরণে আসে।
১৮.হুজুর পাক (দঃ) ঘোষণা দিয়েছেন “যে ব্যক্তি জান্নাতের আনন্দ ভোগ করতে আগ্রহী সে যেন সংগঠনকে আকড়ে ধরে”। অতএব, মহান আলাহ পাক এবং হুজুর (দঃ) এর পবিত্র বাণীর বা¯—বায়ন করছে “মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ”
১৯.হাদিস শরীফের আলোকে নামাজের ফজিলত
১. হযরত ময়াজ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আমি রাসুল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর নিকট আরজ করলাম, আমাকে ঐ আমল (এবাদত) শি¶াদান কর“ন যা আমাকে বেহেশতে প্রবেশ করায় এবং জাহান্নাম হতে বাঁচায়। হুজুর সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেন, আলাহ্ পাকের এবাদত কর, তাঁর সাথে কাউকে শরীফ করো না। নামাজ কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর, রমজানের রোজা রাখ ও বাইতুলাহ্ শরীফে হজ্ব কর। অন্য বর্ণনায় আছে যে, নামাজ ইসলামের গুর“ত্বপূর্ণ ¯—ম্ভ (আহমদ, তিরমিজী ও ইবনে মাজা)।
২. হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, পঞ্চ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা হতে অপর জুমা পর্যš— ও এক রমজান হতে অপর রমজান এর মধ্যবর্তী সময়ে যত গুনাহ-পাপ হয় সব মিটিয়ে দেয়। যদি কবিরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকে। অর্থাৎ এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পর যত ছগিরা গুনাহ হয় অপর ওয়াক্ত আদায় করলে তা মাফ হয়ে যায়। তদ্র“প এক জুমা আদায়ের পর যত ছগিরা গুনাহ হয় পরবর্তী জুমা আদায়ে তা মাফ হয়ে যায়। অনুরূপভাবে রমজানের রোজা। (মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলে আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ছাহাবায়ে কেরামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা বলতো, কারো বাড়ীর সম্মুখে একটি নদী আছে, সে ওখানে দৈনিক পাঁচবার গোসল করলে, তার গায়ে কি কোন ময়লা থাকবে? তাঁরা বললেন, না থাকবে না। তদ্র“প পঞ্চ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে, আলাহ্ তায়ালা সম¯— গুনাহ মিটিয়ে দেন। (বোখারী ও মুসলিম)
৪. হযরত আবদুলাহ্ বিন মাছউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি রাসূল আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর নিকট আরজ করলাম, কোন্ আমল আলাহ্র নিকট অত্যš— প্রিয়? উত্তরে বললেন, ওয়াক্ত মোতাবেক নামাজ পড়া। আবার আরজ করলাম, তারপর কোন্ আমাল? তদুত্তরে বললেন, মাতা-পিতার সেবা করা। আবার আরজ করলাম, তারপর কোন্ আমল? উত্তরে বললেন, আলাহর রা¯—ায় জিহাদ করা। (বোখারী ও মুসলিম)
৫. হযরত ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূল আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর খেদমতে আরজ করলেন, ইসলামের মধ্যে আলাহ্র নিকট কোন জিনিসটা অত্যš— প্রিয়? উত্তরে বললেন, ওয়াক্ত মোতাবেক নামাজ পড়া। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দিল তার দ্বীন নেই, নামাজ দ্বীনের ¯—ম্ভ। (বাইহাকী)।
৬. হযরত আবু জার (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলে আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম বসš—কালে বৃ¶ের পলব ঝরে পড়ার সময় বাইরে তশরীফ নিলেন, হাতে দু’টি বৃ¶ের ডাল ধারণ করলে, ওখান হতে পাতা ঝরতে লাগল, অতঃপর সম্বোধন করলেন, হে আবু জার। তদুত্তরে বললেন, এয়া রাসুলালাহ, আপনার খেদমতে হাজির আছি। এরশাদ হল, মুসলমান বান্দা আলাহ্র জন্য নামাজ আদায় করলে তার পাপ-এভাবে ঝরে যায়, যেভাবে এ বৃ¶ের ডাল হতে পাতা ঝরে যায়। (আহমদ)।
৭. হযরত আবু হুরাইরাহ্ হতে বর্ণিত, রাসূলে খোদা সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ঘর হতে অজু-গোসল করে ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যায়, তাঁর এক কদমে গুনাহ মাফ হয়, অপর কদমে মরতবা বুলন্দ হয়। (মুসলিম শরীফ)।
৮. হযরত জাইদ বিন খালেদ জুহানি (রহঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলে মকবুল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি দু’রাকাত নামাজ আদায় করল, তাতে কোন ধরনের ভুল-ত্র“টি করল না আলাহ্ তায়ালা তার পূর্ববর্তী সম¯— ছগিরা গুনাহ মাফ করে দেন। (আহমদ)।
৯. হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রহমতে দোজাঁহা সালালাহু আলাইহি ওয়া সালামা ইরশাদ করেছেন, মুমিন বান্দা যখন নামাজের জন্য দাঁড়ায় তখন তাদের জন্য বেহে¯ে—র দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়। ঐ বান্দা ও মহান প্রতিপালকের মধ্যে সম¯— আবরণ দূরীভূত করা হয়, সুন্দরী হুর তাদেরকে অভিবাদন জানায়। (তাবরানি)।
১০. হযরত আনছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, সরদারে দো’আলম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের ময়দানে সর্বপ্রথমে বান্দাদের কাছ থেকে নামাজের হিসাব নেয়া হবে। নামাজের হিসাব ঠিক থাকলে অন্যান্য আমল ও ঠিক থাকবে। নামাজের হিসাব অসম্পন্ন হলে, অন্যান্য আমলের হিসাব গড়মিল হবে। তাই সে বেহে¯— হতে বিমুখ হবে। (তাবরানি)।
১১. হযরত তামিম দা’রী (রাঃ) হতে বর্ণিত, ছরওয়ারে কায়েনাত সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের ময়দানে) যদি নামাজের পূর্ণ হিসাব দিতে পারে পূণ্য লেখা যাবে। কিন্তু ফরজ নামাজের হিসাব পূর্ণ না হলে ফেরেশতাগণকে বলা হবে, আমার বান্দার কোন নফল আছে কিনা দেখ, নফল নামাজ থাকলে তা দিয়ে ফরজ পরিপূর্ণ করে দাও। অতঃপর যাকাতের হিসাব নেবে। তদ্র“প অন্যান্য আমলের হিসাব নেয়া হবে। (আবু দাউদ, আহমদ, ইবনে মাজা ও নাসায়ী)।
১২. হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, ছৈয়্যেদে আলম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, (যে মুসলমান জাহান্নামে প্রবেশ করবে) তাঁর সারা শরীর জাহান্নামের আগুণ জ্বালাবে, শুধুমাত্র শরীরের সেজদার স্থান সমূহ আগুণ স্পর্শ করা হারাম করে দিয়েছেন। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজা)।
১৩. অন্য বর্ণনায় আছে যে, আলাহ তায়ালার নিকট বান্দা তাকে সেজদায় তার মুখ ভূলুণ্ঠিত হওয়া অবস্থায় দেখা সবচেয়ে প্রিয়। (তারবানি)।
১৪. হযরত আনছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করিম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভূ-পৃষ্ঠের এক অংশ অন্য অংশকে ডেকে জিজ্ঞেস করে যে, আজ তোমার উপর কোন পূণ্যবান ব্যক্তি অতিক্রম করেছে, যে নামাজ পড়েছে নতুবা আলাহ্র যিক্র করেছে? যদি ঐ যমিন হ্যাঁ বলে উত্তর দেয়, তবে তার জন্য এটা অত্যš— সম্মানের ব্যাপার বোঝা যায়। (তাবরানি)।
১৫. অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বেহে¯ে—র চাবি নামাজ, আর নামাজের চাবি পবিত্রতা (অজু, গোসল ইত্যাদি)। (মুসলিম শরীফ)।
১৬. হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন করে নিজ ঘর হতে ফরজ নামাজের জন্য বের হল, তার জন্য হজ্ব সম্পাদনকারী এহরাম অবস্থায় থাকার মত ছওয়াব হবে। আর যে দোহার নামাজের জন্য বের হয় তার ছওয়াব উমরা আদায়কারীর মত দেয়া হবে। আর এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পর অপর ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মধ্যবর্তী সময়ে কোন ত্র“টি পাওয়া না গেলে ঐ নামাজ ইলিয়্যিনে লেখা হয় অর্থাৎ কবুল হয়। (আবু দাউদ)।
১৭. হযরত আবু আইয়ুব আনচারী ও উকবা বিন আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল পাক সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অজুর প্রকৃত নিয়ম মোতাবেক অজু করল, আর নামাজের প্রকৃত বিধান মোতাবেক নামাজ পড়ল, তার অতীতের সম¯— গুনাহ মাফ হয়ে গেল। (নাছায়ী, আহমদ ও ইবনে মাজা)
১৮. হযরত আবু জার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল মকবুল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আলাহ্ কে একটি সেজদা করল তার জন্য একটি নেকী লেখা হয়। একটি গুনাহ মাফ করা হয়। একটি দরজা বুলন্দ করা হয়। (আহমদ)।
১৯. অন্য বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি আলাহ্ ও তাঁর ফেরে¯—াগণ দেখা ব্যতীত আর কেউ না দেখে, এমনিভাবে নির্জনে দু’রাকাত নামাজ পড়ল, তার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির সনদ লেখা হয়। (কানযুল উম্মাল)।
২০. আর ও আছে, প্রত্যেক জিনিসের একটি আলামত (চিহ্ন) আছে। ঈমানের আলামত বা চিহ্ন হল নামাজ পড়া। (মুনয়াতুল মুছলি)।
২১. অন্যত্র এরশাদ করেছেন, নামাজ দ্বীনের ¯—ম্ভ, যে ব্যক্তি নামাজ প্রতিষ্ঠিত করল, সে যেন দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করল। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দিল, সে দ্বীনকে ধ্বংস করল। (মুনয়াতুল মুছলি)।
২২. হযরত উবাদা দিন ছামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর করিম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ভাল করে অজু করল এবং ওয়াক্ত মোতাবেক ঐ নামাজ আদায় করল, পরিপূর্ণভাবে রূকুয় ও খুশুয় বিনয়ের সহিত সম্পাদন করল, তার জন্য আলাহ্ তায়ালা জিম্মা (দায়িত্ব) নিল যে, তাকে মাফ করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি এ ধরনের করল না, তাঁর জন্য আলাহ্ কোন জিম্মা নেন না। ইচ্ছা করলে ¶মা করবেন, ইচ্ছা করলে শা¯ি— দেবেন। (আবু দাউদ)।
২৩. হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর এরশাদ, আলাহ তায়ালা ঘোষণা দিয়েছেন, যদি আমার বান্দা ওয়াক্ত মোতাবেক নামাজ কায়েম করে, তাহলে আমার বান্দার জন্য আমি দায়িত্ব নিলাম যে, তাকে আজাব দেব না এবং বিনা হিসাবে বেহেশতে প্রবেশ করাব। (হাকেম)।
২৪. হযরত আবু ছায়ীদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাহমাতুলিল আলামিন সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, আলাহ তায়ালা তাওহিদ ও নামাজ হতে উত্তম কোন জিনিস ফরজ করেন নি। যদি উহা হতে কোন জিনিস উত্তম হত, তবে নিশ্চয় উহা ফেরেশতাদের উপর ফরজ করতেন। ফেরেশতাদের কেউ রূকুয় অবস্থা, কেউ সিজদা অবস্থায় আছেন। (দাইলামী)
২৫. হযরত আবু হোরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ মো¯—ফা সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন যে, বান্দা নামাজ আদায় করে ঐ স্থান যত¶ণ পর্যš— বসে থাকে, ফেরেশতাগণ তার জন্য (ইসতেগফার) গুনাহ মার্জনার জন্য দোয়া করতে থাকে, যত¶ণ পর্যš— অজু ভঙ্গ না হয় নতুবা ওখান হতে উঠে চলে যায়। (তায়ালাচী)।
২৬. হযরত আবদুলাহ বিন ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়লো সে সন্ধ্যা পর্যš— আলাহর জিম্মায় হয়ে গেল। অন্য বর্ণনায় আছে, যার ইচ্ছা সে আলাহর জিম্মা ছেড়ে দিতে পারে, যে আলাহর জিম্মা ভঙ্গ করল, তাকে উপুর করে দোজখে নি¶েপ করা হবে। (তারবানি শরীফ)।
২৭. হযরত সালমান ফারছী (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকালে নামাজের জন্য গেল, সে যেন ঈমানের পতাকা সহ গেল, আর যে সকালে বাজারে গেল, সে যেন ইবলিশের পতাকা নিয়ে গেল। (ইব্নে মাজা)
২৮. হযরত ওছমান (রাঃ) হতে বর্ণিত, যে ব্যক্তি ছওয়াবের উদ্দেশ্যে ফজরের নামাজে উপস্থিত হল সে যেন সারা রাত এবাদত করল, আর যে ব্যক্তি এশা নামাজের জন্য উপস্থিত হল সে যেন অর্ধেক রাত এবাদত করল। (বাইহাকী শরীফ)।
২৯. হযরত আনছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলে করিম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি চলিশ দিন ফজর ও এশা নামাজ জামায়াতের সহিত আদায় করল, আলাহ্ তায়ালা তাকে দু’টি মুক্তি পত্র প্রদান করেন। একটি জাহান্নাম হতে মুক্তি, অপরটি মুনাফেকি হতে মুক্তি। (খতিব)।
৩০. হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন, দিবা-রাত্রির ফেরেশতাগণ ফজর ও আছরের নামাজের সময় একত্রিত হয়। যখন তারা আলাহ তায়ালার নিকট যায়, জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কোথা হতে আসতেছ? অথচ আলাহ তা জানেন। ফেরেশতাগণ উত্তরে বলেন, আমরা আপনার বান্দাগণের নিকট হতে আসতেছি, যখন আমরা তাদের নিকট গিয়েছিলাম, তখন তারা নামাজ পড়তেছিল, আর তাদের নামাজ পড়া অবস্থায় রেখে আপনার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। (আহমদ)।
৩১. হযরত ইব্নে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে প্রথম রাকাত বাদ না যায় মত জামাতের সহিত চলিশ রাত এশা নামাজ পড়ল, তার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লিপিবদ্ধ করা হয়। (ইবনে মাজা)।
৩২. হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত ছৈয়্যেদে আলম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, মুনাফেকদের জন্য সম¯— নামাজ হতে কঠিনতর নামাজ এশা ও ফজরের নামাজ। এ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বান্দা যদি জানত হামাগুড়ি দিয়ে হলেও শরীক হত। (তাবরানি)।
৩৩. আরও এরশাদ করেছেন, ছেলে মেয়েদেরকে সাত বৎসর বয়সে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেবে। আর দশ বৎসর বয়সে মেরে নামাজ পড়াবে। (আবু দাউদ, তিরমিজী)।
৩৪. হযরত আনছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, ফজরের নামাজ আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সময় আদায় কর। এতে মহান পুরষ্কার আছে, (তিরমিজী)। অন্য বর্ণনায় আছে, এতে তোমাদের মাগফেরাত হয়। (দাইলামী)। আরো বর্ণিত যে, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আকাশ আলোকময় অবস্থায় আদায় করে, আলাহ তায়ালা তাঁর ক্বলব ও কবর আলোকসজ্জা করবেন এবং তার নামাজ কবুল করবেন। (দাইলামী)
৩৫. হযরত আনছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, মে’রাজ রজনীতে হুজুর আকরাম সালালাহ আলাইহি ওয়া সালাম এর উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে, অতঃপর কমাতে-কমাতে পাঁচ ওয়াক্ত রয়ে গেল এবং আলাহর প¶ হতে আওয়াজ আসল, হে বন্ধু ! আমার ঘোষণার পরিবর্তন নেই, এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিনিময়ে পঞ্চাশ ওয়াক্তের ছওয়াব দেয়া হবে। (তিরমিজী)।
৩৬. মুমিন বান্দা যখন নামাজ পড়ে, তখন ফেরেশতাদের দশটি সারি আশ্চর্য করতে থাকে, যার প্রতি সারিতে দশ হাজার ফেরেশতা রয়েছে, আলাহ্ তায়ালা ঐ নামাজের ব্যাপারে ঐ ল¶ ফেরেশতার সম্মুকে গৌরব করেন। (ইহইয়াউল উলুম)।
৩৭. রাসূল করিম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেন, মানব যখন সেজদা করে, তখন শয়তান কেঁদে কেঁদে পলায়ন করে এবং বলে, হায়, আফসুছ মানবকে সেজদার নির্দেশ হয়েছে, তারা সেজদা করল, বেহেশত পেল, আমাকে সেজদার নির্দেশ হয়েছে, আমি অ¯^ীকার করেছি, তাই জাহান্নাম পেলাম। (মুসলিম)।
৩৮. ছরকারে দো’আলম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর এরশাদ, বান্দার উপর আলাহর বড় অনুগ্রহ যে, তাকে দু’রাকাত নামাজ পড়ার জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে। (মোকাশাফাতুল কুলুব)।
৩৯. হযরত মুহাম্মদ বিন ছিরিন বলেন, যদি আমাকে জান্নাত ও দু’রাকাত নামাজ গ্রহণ করার জন্য ইখতেয়ার দেয়া হয়, তবে আমি দু’রাকাত নামাজকেই গ্রহণ করব। কেননা দু’রাকাত নামাজে আলাহ সন্তুষ্ট আর জান্নাত গ্রহণে আমার সন্তুষ্ট রয়েছে। (তাই আমার সন্তুষ্টির উপর, আলাহ্র সন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দান করব)। (মোকাশাফাতুল কুলুব)।
৪০. হাদিসে বর্ণিত আছে, বান্দা যখন নামাজের জন্য দাড়ায়, আলাহ্ বান্দা ও তার মধ্যবর্তী স্থান হতে পর্দা উঠিয়ে দেন। এমনকি ¯^ীয় সম্মুখে করে নেন। আর ফেরেশতাগণ তাঁর কাঁধ হতে উপরে শূণ্যে পর্যš— দাড়িয়ে থাকে, তাদের নামাজের সাথে নামাজ পড়ে। তাদের দোয়ার সময় ’আমীন’ বলে। নামাজির উপর আসমান হতে তাঁর মাথার উপর পর্যš— নেকী বর্ষণ হয়। একজন ঘোষক আহ্বান করতে থাকে, হে নামাজি ! তুমি কার নিকট গোপন আলাপ করতেছ, জান? তাই এদিক ওদিক তাকাবে না। অতঃপর ঐ নামাজির জন্য আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়। এদিকে আলাহ্ ফেরেশতাদের সম্মুখে ঐ নামাজির সততা ও এখলাছ নিয়ে গৌরব করতে থাকেন। (ইহ্ইয়াউল উলুম)।
৪১. রাসুলে আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, যখন বান্দা নামাজের জন্য দাঁড়ায়, তখন তার পাপ সমূহ বোঝাই করে একেবারে নামাজির উপর রাখা হয়। যখন রূকুতে যায় গুনাহ সমূহ পড়ে যায়। নামাজি নামাজ শেষ করার সময় গুনাহ হতে মুক্ত হয়ে যায়। (কানযুল উম্মাল)।
৪২. ‘তানবিহুর রেজাল’ নামক কিতাবে উলেখ আছে, যে ব্যক্তি পঞ্চ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করল, কখনো কোন নামাজ ছাড়া না যায় তার জন্য তেরটি সম্মান জনক পুরষ্কার রয়েছে। তা হল ঃ ১. তার সাথে আলাহ্র মুহব্বত হবে ২. তার শরীর রোগ হতে মুক্ত থাকবে ৩. তার জন্য নির্ধারিত হেফাজতের ফেরেশতা থাকবে ৪. তার পরিবার পরিজনে বরকত হবে ৫. তার চেহারায় বুজুর্গের চিহ্ন হবে ৬. আলাহ্ তায়ালা তার কবর আজাব হতে বাঁচাবেন ৭. পুলছিরাত বিদ্যুতের মত পার হয়ে যাবে ৮. আলাহ্ তাকে দোজখের আজাব হতে মুক্তি দেবেন ৯. হিসাব-কিতাব জটিল হবে না ১০. কিয়ামতের দিন মদিনা ওয়ালা আকা তার শুপারিশকারী হবেন ১১. আলাহ্ তায়ালা তাকে ধনীগণের সম্মুখে আনুগত্যের পোষাক দান করবেন ১২. আলাহ তায়ালা প্রিয় বান্দা-অলিগণের সাথে জায়গা দেবেন যাদের ব্যাপারে এরশাদ হয়েছে, (আলাহ্র অলিদের জন্য) কোন ভয় ও চিš—া নেই এবং ১৩. আখেরাতে আলাহ্ তায়ালার দিদার নছিব হবে।
৪৩. শাহেনশাহে মদিনা সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, হে মুসলমানগণ! তোমরা নামাজের সেজদার সময় যে মাটির চিহ্ন কপালে লেগেছে তা কখনো পরিষ্কার করবে না। যেহেতু যত¶ণ নামাজে সেজদার চিহ্ন তার চেহারায় ও কপালে থাকে, ফেরে¯—া তার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করতে থাকে। (কুররাতুল উয়ুন)।
৪৪. হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, বান্দা নামাজের সেজদার সময় আলাহ্র সবচেয়ে নিকটতম হয়। (মুসলিম শরীফ)।
৪৫. হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) এরশাদ করেছেন, বান্দা যখন নামাজে দন্ডায়মান হয় তখন সে যেন রাজা-বাদশাহর দরজায় আঘাত করল। যে ব্যক্তি সদা-সর্বদা কোন রাজা বাদশাহর দরজায় আঘাত করতে থাকে, তবে কোন এক সময়ে দরজা খোলা হবে। (দাইলামী)।
৪৬. হযরত ওকবা (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর তাজেদারে মদিনা সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, তোমাদের প্রভু এমন ছাগল চারক বান্দার উপর সন্তুষ্ট হয় যে, পর্বত চূড়ায় আজান দিয়ে নামাজ আদায় করে আর আলাহ্ তায়ালা ¯^ীয় (ফেরেশতাগণকে) বলে থাকেন, আমার বান্দাগণকে দেখ, সে নামাজ আদায় করতেছে ও আমাকে ভয় করতেছে। নিশ্চয় আমি আমার এ বান্দাকে ¶মা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম। (মেশকাত)।
৪৭. হযরত আবু কাহেল (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুজুর আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, হে আবু কাহেল! যার ক্বলবে নামাজের ¯^াদ-মজা প্রবেশ করেছে, এমনকি পরিপূর্ণভাবে রূকু-সেজদা আদায় করে, আলাহ্ তায়ালার উপর হক হল, কিয়ামতের ময়দানে ঐ বান্দাকে সন্তুষ্ট করা। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব)।
৪৮. রাসূল আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, বান্দা যখন নামাজে দাঁড়ায় সে তখন আলাহর চোখের সম্মুখে হয়। যখন কোন দিকে তাকায়, আলাহ বলেন, হে আদম সš—ান! কার দিকে তাকাচ্ছ? আমার থেকে যে উত্তম তার দিকে তাকাচ্ছ? হে আদম সš—ান! আমার দিকে এগিয়ে আস, তুমি যার দিকে তাকাচ্ছ, তার চেয়ে আমি তোমার জন্য উত্তম। (আত তারগীব)।
৪৯. হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল আকরাম সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এরশাদ করেছেন, প্রত্যেক মুসলির ডান পাশে একটি ফেরেশতা ও বাম পাশে একটি ফেরেশতা রয়েছে, নামাজ পরিপূর্ণভাবে আদায় করলে এরা এ নামাজ আসমানে নিয়ে যায়। যদি পরিপূর্ণভাবে আদায় না করে এ নামাজ তার মুখে নি¶েপ করে চলে যায়। (আত তারগীব)

No comments

Powered by Blogger.