জমানার বিষ্ময়কর রমণী!! কে ওনি?
জমানার বিষ্ময়কর রমণী!!
ইসলামী ইতিহাস সা¶্য বহন করে যে, যুগে-যুগে, কালে-কালে ইসলামের মহান মনিষীগণের পাশাপাশি মহিয়সী রমণীগণও ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অবর্ণননীয় ভূমিকা ও অবদান রেখে গেছেন এবং যাচ্ছেন। তার পিছনে কারণ হল ছোহবত।যেমন উম্মুল মো’মেনীন হযরত খদীজাতুল কোব্রা (রাঃ), হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা (রাঃ), হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) নবী করীম (দঃ) এর ছোহŸত পেয়ে শ্রেষ্ঠ রমণীর মর্যাদা পেয়েছেন। এমনিভাবে সকল উম্মাহাতুল মো’মেনীন, সাহাবীয়াত, তাবেয়া’ত ইত্যাদি বেলায়তের অধিকারী মহিয়সী রমণীগণ পেয়েছেন সাহাবীয়তের মর্যাদা, তাবীয়্যতের মর্যাদা, ঠিক তেমনিভাবে জমানার বিষ্ময়কর মহান মনিষী, কাগতিয়ার মহান মোর্শেদ হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর ছোহবত পেয়ে উনার সহধর্মিণী আমাদের রূহানী আম্মাজান হয়েছেন জমানার বিষ্ময় রমণী। পূর্বেকার মহিয়সী রমণীগণ আলাহর বিধি মোতাবেক দুনিয়া থেকে পর্দা করলেও উনাদের আদর্শে আদর্শিত যোগ্য উত্তরসুরী যুগে-যুগে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আবার উনাদের মত এসব মহিয়সী রমণীগণও চলে গেছেন ্এবং যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো জগৎ কে নিঃ¯^ করে, ল¶-কোটি রূহানী সš—ান সš—ুতি, মুহিব্বীন, আত্মীয়-¯^জনকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন জমানার রাবেয়া বসরী, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহিয়সী রমণী রূহানী আম্মাজান (রাঃ)।
পরিচয়ঃ জমানার রাবেয়া বসরী, কালের বিষ্ময়কর রমণী, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহিয়সী এ রমণী হলেন কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হযরতুল আলামা আব্দুল হামিদ বোগদাদী (রাঃ) এর বিশিষ্ট খলিফা, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, অলিয়ে কামেল, আশেকে রাসুল (দঃ) আলামা র“হুল আমিন (রাঃ) এর মোহতারামা তৃতীয় কন্যা
ও কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার সফল পৃষ্ঠপোষক ও কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ, খাজায়ে বাঙ্গাল, কুতুবুল এরশাদ, সুলতানুল আউলিয়া হাফেজ মুনিরুদ্দীন নুর“লাহ (রাঃ) এর বিশিষ্ট খলিফা, কালের অলিকুল শিরমনি, আরেফকুল সর্দার, জমানার গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী ছাহেব এর সম্মানিত সহধর্মীনি
এবং বিশ্বখ্যাত অরাজনৈতিক তরিক্বতভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া তবলীগ ও যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের মহামান্য সভাপতি ও এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শি¶া প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার সুযোগ্য অধ্য¶ ও আধুনিক রূপকার, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের একমাত্র কর্ণধার ও গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর একমাত্র খলিফা, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত, পীরে মোকাম্মেল, মোর্শেদে বরহক, পেশওয়ায়ে আহলে সুন্নাত, হযরতুলহাজ্ব আলামা ছৈয়্যদ শাহ ছাহেব কেবলায়ে আলম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর প্রিয় আম্মাজান এবং ল¶-ল¶ তরিক্বতপন্থিদের রূহানী মা।
ও কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার সফল পৃষ্ঠপোষক ও কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ, খাজায়ে বাঙ্গাল, কুতুবুল এরশাদ, সুলতানুল আউলিয়া হাফেজ মুনিরুদ্দীন নুর“লাহ (রাঃ) এর বিশিষ্ট খলিফা, কালের অলিকুল শিরমনি, আরেফকুল সর্দার, জমানার গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী ছাহেব এর সম্মানিত সহধর্মীনি
এবং বিশ্বখ্যাত অরাজনৈতিক তরিক্বতভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া তবলীগ ও যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের মহামান্য সভাপতি ও এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শি¶া প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার সুযোগ্য অধ্য¶ ও আধুনিক রূপকার, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের একমাত্র কর্ণধার ও গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর একমাত্র খলিফা, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত, পীরে মোকাম্মেল, মোর্শেদে বরহক, পেশওয়ায়ে আহলে সুন্নাত, হযরতুলহাজ্ব আলামা ছৈয়্যদ শাহ ছাহেব কেবলায়ে আলম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর প্রিয় আম্মাজান এবং ল¶-ল¶ তরিক্বতপন্থিদের রূহানী মা।
রূহানী আম্মাজানের বৈশিষ্ট্যাবলীঃ অন্যান্য মহিয়সী রমণীগণের ন্যায় কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের এ মহিয়সী রমণী জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজানের মধ্যে বিদ্যমান ছিল খোদাভীর“তা, পরহেজগারীতা, মানবতা, আথিতেয়তা, একনিষ্ঠতা, হুব্বে এলাহী, এশকে মো¯—ফা (দঃ), খেদমতে খলক্, শরীয়ত ও তরিক্বত এর অনুশীলন-অনুচর্চা, আলাহ তায়ালা ও রাসুল (দঃ) এর পুর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণ, উদারতা, দায়িত্ব সচেতনতা, ইত্যাদি আখলাকে হাছানা ও আওছাফে মমদোহা। যে সম¯— গুণের কারণে উনি জমানার রাবেয়া বসরী ও ফাতেমায়ে ছানীয়া নামে ভূষিত হয়েছেন।
মানবতাঃ বিশ্বের অদ্বিতীয় আধ্যাত্মিক দরবার কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের একজন মহিয়সী রমণী হিসেবে জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান (রাঃ) এর ছিল না কোন অহংকার, অহমিকা, বিরক্তিবোধ, দাম্ভিকতা। বরং সহানুভূতি, সহমর্মিতা, মহানুভবতা ও মানবতায় পূর্ণ ছিল উনার অš—র, দুঃখিদের দঃুখে ব্যথিত হত উনার হৃদয়, বিপদগ্রস্থদের বিপদে বেদনাদায়ক হত উনার মন। এলাকা, আত্মীয়-¯^জন ও তরিক্বতপন্থি মহিলাদের মধ্যে কারা অসুস্থ, অভাবী, গরীব, দুঃখি, এতিম, নিঃ¯^, বিপদগ্রস্থ, সবগুলোর হিসাব উনার নখদর্পনে ছিল। নিজে না খেয়ে অনাহারীদেরকে খাওয়াতেন, নিজে না পরে বিবস্ত্রদেরকে বস্ত্র পরিধান করাতেন, নিজে অসুস্থ হওয়া সত্তে¡ও অসুস্থদের খোঁজ-খবর রাখতেন, সেবা করতেন, শত ব্য¯—তার মাঝেও এলাকার গরীব, মিসকিন, এতিম, অভাবীদের খবর নিতেন এবং যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগীতা করতেন।
মানবতাঃ বিশ্বের অদ্বিতীয় আধ্যাত্মিক দরবার কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের একজন মহিয়সী রমণী হিসেবে জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান (রাঃ) এর ছিল না কোন অহংকার, অহমিকা, বিরক্তিবোধ, দাম্ভিকতা। বরং সহানুভূতি, সহমর্মিতা, মহানুভবতা ও মানবতায় পূর্ণ ছিল উনার অš—র, দুঃখিদের দঃুখে ব্যথিত হত উনার হৃদয়, বিপদগ্রস্থদের বিপদে বেদনাদায়ক হত উনার মন। এলাকা, আত্মীয়-¯^জন ও তরিক্বতপন্থি মহিলাদের মধ্যে কারা অসুস্থ, অভাবী, গরীব, দুঃখি, এতিম, নিঃ¯^, বিপদগ্রস্থ, সবগুলোর হিসাব উনার নখদর্পনে ছিল। নিজে না খেয়ে অনাহারীদেরকে খাওয়াতেন, নিজে না পরে বিবস্ত্রদেরকে বস্ত্র পরিধান করাতেন, নিজে অসুস্থ হওয়া সত্তে¡ও অসুস্থদের খোঁজ-খবর রাখতেন, সেবা করতেন, শত ব্য¯—তার মাঝেও এলাকার গরীব, মিসকিন, এতিম, অভাবীদের খবর নিতেন এবং যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগীতা করতেন।
আত্মীয়-¯^জনদের মধ্যে কারা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, কিভাবে আছেন খবর নিতেন। সকর্লে সাথে আত্মীয়তার বন্ধন যেকোনভাবে বজায় রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করতেন। তরিক্বতপন্থি মহিলাদেরকে নিজের মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করতেন। এলাকার, আত্মীয়-¯^জন ও মহিলাদের তরিক্বতপ্িন্থদের মধ্যে কারো মেয়ে বিবাহযোগ্য হয়েছে অথচ বিবাহ দেওয়ার সামর্থ্য নেই, এব্যপারে রূহানী আম্মাজান অত্যš— সচেতন ছিলেন ও সব্র্দা তটস্থ, চিšি—ত ও অস্থির থাকতেন। যখনই কোন ধরনের সুযোগ আসত মহিলাদেরকে আর্থিক, মানসিক ও মৌখিক পরামর্শের মাধ্যমে সহযোগিতা করতেন। অর্থের অভাবে কোন অসুস্থ মহিলা চিকিৎসা করাতে না পারলে তিনি ঐ মহিলার চিকিৎসার ভার গ্রহণ করতেন। এমনও প্রমাণ আছে যে, পিতা-মাতা, অভিভাবকহীনা বিবাহযোগ্য মহিলার অভিভাবক হয়ে নিজ দায়িত্বে অনেক মহিলার বিবাহ দিয়েছেন। ইšে—কালের পূর্ব মুহুর্ত পর্যš— মানবসেবায় নিজের জীব্নকে উৎসর্গ করেছেন। না ছিল অর্থের লোভ, না ছিল অলংকারের মায়া, না ছিল বিলাসী জীবনের আশা, না ছিল আরাম-আয়েশের মোহ।
উদারতাঃ জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান ছিলেন উদারতার বিষ্ময়কর প্রতীক। সংকীর্ণতা, ¯^ার্থপরতা, কৃপনতা থেকে উনি ছিলেন পুতঃপবিত্রা। আত্মীয়-অনাত্মীয়, আপন-পর, শত্র“-মিত্র, পরিচিত-অপরিচিত, তরিক্বতপন্থি-গাইরে তরিক্বতপন্থি বলতে কোন ভেদাভেদ ছিল না। তিনি সবাইকে সমানভাবে ভালবাসতেন, সবার প্রতি উদারতা প্রদর্শন করতেন, নিরপে¶ দৃষ্টি দিতেন। তিনি প্রতি হিংসা, প্রতিশোধ বা কোন ধরণের মন্দ আচরণ কোনভাবে পছন্দ করতেন না, মেনে নিতেন না। বরং উনার অভ্যাস ছিল যে দূরে থাকতে চায়, তাকে কাছে আনা। যে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়, তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা। যে মন্দ আচরণ করে তার সাথে ভাল আচরণ করা। মহানবী রাহমাতুলিল আলামিন (দঃ) এর মহান বাণী-“সম্পর্ক ছিন্নকারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন কর, অত্যাচারীকে ¶মা কর এবং মন্দ আচরণকারীর সাথে ভাল আচরণ কর”। এবাণীর উপর বিশ্বাসী ও আমলকারী ছিলেন। ইতিহাসখ্যাত ঘটনা যে আমার প্রিয় নবী রাহমাতুলিল আ্লামিন (দঃ) চলার পথে উম্মুল জমিল কাঁটা বিছিয়ে দেওয়া ¯^ত্তেও আমার প্রিয় নবী (দঃ) তাকে দেখার জন্য ও সেবা করার জন্য গিয়েছিলেন। তার মানে আমার প্রিয় নবী (দঃ)’র আদর্শ ছিল কষ্টের প্রতিশোধ সেবা দিয়ে আদায় করা। দার“ন্ নদওয়ায় যারা বসে আমার নবী (দঃ) কে শহীদ করার পরিকল্পনা করেছিল, অবরোধ করে কষ্ট দিয়েছিল তাদেরকে প্রিয় নবী (দঃ) ¶মা করে দিয়েছিলেন। তেমনিভাবে যারা রূহানী আম্মাজানের কাছে পৌঁছাত কষ্টের বার্তা, তিনি তাদেরকে পৌঁছাত শাšি—র বার্তা। কষ্টের প্রতিশোধ নিতেন ভালবাসা দিয়ে, অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতেন সেবা দিয়ে, উপঢৌকন দিয়্।ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করতেন শ্রদ্বা, স্নেহ, মায়া-মমতা, আদর ও ভালবাসা দিয়ে। তায়েফের ময়দানে যারা আমার নবী (দঃ)’র শরীর মোবারককে রক্তে রঞ্জিত করেছিল তাদেরকে যেমন তিনি (দঃ) ¶মা করে দিয়েছিলেন। তেমনিভাবে বিভিন্নভাবে কষ্ট দিয়ে যারা রূহানী আম্মাজানের পবিত্র শরীর ও অš—রকে জর্জরিত করেছে, তাদেরকে তিনি দিয়েছেন ¶মা। সকল ব্যাথা বেদনা হজম করে তাদেরকে করেছেন আপন, তাদের প্রতি দেখিয়েছেন উদারতা।
উনার আতিথিয়তাঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব রাহমাতুলিল আলামিন মহানবী (দঃ) এর অন্যতম উছওয়ায়ে হাছানা ছিল আথিতেয়তা, যা দেখে ইহুদী-নাছারা পর্যš— অবাক হত, মুগ্ধ হত। অমুসলিমরা পর্যš— আমার নবী (দঃ)’র আতিথিয়তা গ্রহণ করতেন নির্দ্বিধায়-নির্ভয়ে। যে আদর্শে আদর্শিত হয়েছেন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা (রাঃ), হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) সহ সকল আউলাদে রাসুল (দঃ)। উনাদের যোগ্য উত্তরসুরী হলেন জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান (রাঃ)। যার আথিতেয়তার কথা ভুলা যাবেনা, প্রকাশ করা যাবেনা, বর্ণনা করা যাবেনা। উনার অন্যতম কারামত ছিল কে কোন ধরণের খাবার বা না¯—া পছন্দ করেন তা তিনি অলৌকিকভাবে জানতেন আর সেভাবে ব্যবস্থা করে মহিলা হলে অন্দর মহলে নিজ হাতে খাওয়াতেন আর পুর“ষ হলে তার জন্য মেহমান খানায় পৌঁছিয়ে দিতেন। আমাদের অনেক প্রবীণ তরিক্বতপন্থি, ওলামা পরিষদের সচিবসহ অনেক আলেম, হাফেজ, মাদরাসা পড়–য়া ছাত্র থেকে শুনেছি যে রূহানী আম্মাজানের কশফ একই প্রখর ছিল যে, কে চিনি বিশিষ্ট চা পান করেন আর কে চিনি বিহীন চা পান করেন তা তিনি জানতেন এবং সেভাবে অন্দর মহল হতে পাঠাতেন। নিজে উপোস থেকে অন্যকে মেহমান নেওয়াজী করাতে আনন্দ পেতেন। নিম্নমানের খাবার নিজে না খেয়ে অন্যকে উন্নত মানের খাওয়ার খ্ওায়াতে পারলে তিনি খুশি হতেন। মহিলা তরিক্বতপন্থিদের বেলাই তো কথাই নেই। শরীয়তের বিধি নিষেধের কারণে ও দরবারের কঠোরতার কারনে কোন পুর“ষ তরিক্বতপন্থি নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে চুল পরিমান যাওয়ার নূন্যতম সুযোগ নেই্। কিন্তু দূর থেকে এমন মায়া-মমতা,স্নেহ-আদর দিয়েছেন। যেভাবে একজন মা তার ছোট শিশুকে লালন-পালন করেন। অনেক ¶েত্রে দেখা গেছে আপন জন্মদাত্রী মা ও রূহানী আম্মাজানের আদর্শের কাছে হার মেনেছে। এমন অনেক প্রমাণ আছে কোন মেহমান বা তরিক্বতপন্থি রাত ১টা বা ২টা অথবা আরও গভীর সময়ে কোন প্রয়োজনে দরবারে গিয়েছেন, দেখা গেল রূহানী আম্মাজান তার জন্য এমন খাবার পাঠালেন যেন কিছু¶ন পূর্বে রান্না করা হয়েছে। যা সাধারনত একজন মানুষ তার ঘরেও আশা করতে পারেনা। এরূপ ঘটনা আমি গুনাহগারের জীবনেও একবার ঘটেছে। রাত আনুমানিক সাড়ে বারটার সময় হুজুর কেবলায়ে আলম মাদ্দাজিলুহুল আ্লীর সাথে দেখা করার জন্য দরবারে গিয়েছিলাম এবং উনার নির্দেশ পালনার্থে খাবার খেতে বসলাম, দেখা গেল আমাকে এমন খাবার দেয়া হল যার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। গুণে দেখলাম প্রায় সাত ধরনের তরকারী সাথে কয়েক ধরণের ফল-মূল। যেহেতু আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না সেহেতু দেখে আমার চোখে ্আমার চোখে জল এসে গেল। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হল। উনি কেমন দরদী, কেমন মায়াবী। একজন নগন্য গোলামের জন্য এত গভীর রাতে এত কষ্ট করলেন। পরে শুনলাম এ আথিতেয়তা উনার আদর্শ, দৈন্িন্দন র“টিনের একটি অংশ। আজ বড়ই হিংসা লাগে যখন প্রবীণ তরিক্বতপন্থিদের মুখ থেকে রূহানী আম্মাজানের আজীব আথিতেয়তার কথা শুনি। শুধু তাই নয়,এলাকার অসুস্থ বৃদ্ধ মহিলারা কে কোন জিনিস পছন্দ করেন তা রূহানী আম্মাজান খবর রাখতেন্ এবং উহা তৈরী করে বা ক্রয় করে অথবা কেউ উনাকে হাদীয়া ¯^রূপ প্রদান করলে নিজে না খেয়ে ঐ মহিলাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখার ব্যাপারে উনি ছিলেন জমানার বে-নজীর মহিয়সী রমণী। ইšে—কালের পরোয়ানা উনার জানা ছিল বলেই আত্মীয় ¯^জনের কাছে রমজানের ইফতারি পূর্বেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ ৩রা রমজান তিনি আমাদের থেকে বিদায় বিদায় নিয়েছেন। আলাহ তায়ালা রূহানী আ্ম্মাজানকে উত্তম বদলা নসিব কর“ন্। আমিন!
উনার অবদান ও ত্যাগঃ ইসলামের জন্য উম্মুল মোমেনীন হযরত খদীজাতুল কোবরা (রাঃ) যেমনিভাবে অবদান রেখেছেন, ত্যাগ ¯^ীকার করেছেণ, নিজের সম¯— সম্পদ নবী (দঃ) এর হাত মোবারকে তুলে দিয়েছেণ। হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) যেমনিভাবে হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও ইমাম হাসান (রাঃ) কে আলাহর পথে, নবীজীর দ্বীন প্রতিষ্ঠায়, শরীয়ত ও তরিক্বতের পূর্ণ জাগরনের জন্য কোরবান করে দিয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান নিজের অলংকারসহ সম¯— সম্পদ ও আপন প্রাণৃিপ্রয় সš—ানকে তরিক্বতের জন্য ও কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার ¯^ার্থে আলাহ তায়ালা ও তদীয় রাসুল (দঃ) এর মুহাব্বতে গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর পবিত্র হাতে তুলে দেন। এমনকি পুরো সপ্তাহ চাউলের গুড়ো রান্না করে খেয়ে নিজেদের ¶ুধা নিবারন করতেন আর মুল চাউলগুলো রেখে দিতেন বৃহস্পতিবারে দরবারের সাপ্তাহিক তরিক্বত মাহফিলে আসা তরিক্বতপন্থি ও মেহমানদের জন্য। নিজেরা খেতেন নিম্নমানের তরকারী আর বৃহস্পতিবারে আসা লোকজনের জন্য রেখে দিতেন তুলনামুলক উন্নতমানের তরকারী গুলো। শুধু তাই নয় কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার ছাত্রাবাসে অনেকদিন যাবত বাবুবিছ ছিল না। তখন রূহানী আম্মাজান নিজ হাতে রান্না করে হোস্টেলে অবস্থানরত শি¶কম›ডলী ও ছাত্রদের জন্য খাবার পাঠাতেন, তরকারী রান্না করে পাঠাতেন, ঘরের ভাল খাবার গুলো মাদরাসার এতিম ছাত্রদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন। শরীয়ত ও তরিক্বতের জন্য তিনি এমন অসহনীয় কষ্টকে তুচ্ছ মনে করতেন, এতে আনন্দ পেতেন। এগুলোকে আলাহর এবাদত হিসেবে গ্রহণ করতেন। তিনি সদা বলতেন ইসলামী জ্ঞান অর্জন করার জন্য মা-বাবা, ভাই-বোন ছেড়ে আসা নবী (দঃ)’র ওয়ারিশের সেবা করার সুযোগ পাওয়া আমার সৌভাগ্যের বিষয়। তরিক্বতপন্থিদেরকে কোন দিন গাউছুল আজমের মুরীদান মনে করেননি। তিনি বলতেন আলাহর কিছু বান্দা আলাহ তায়ালা ও তাঁর রসুল (দঃ) এর সšে—াষ্টি অর্জন করার জন্য দরবারে আসা-যাওয়া করতেছেন। তাদেরকে মেহমানদারী করার সুযোগ হওয়া আমার খোশ নসীব। তিনি সবাইকে আলাহর নেককার বান্দা , প্রিয় নবী (দঃ)’র আশেক উম্মত ও আপন সš—ান-সন্তুত মনে করতেন। তরিক্বত ও মাদরাসার কোন কাজে ব্যঘাত ঘটার আশংকায় সাংসারিক জীবনে গাউ্ছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর নিকট আবদার করেননি চুল পরিমান কোন জিনিসের, চাননি কোন ধরনের বিলাসিতা। বরং সংকটের সময়ে প্রিয় নবী (দঃ) ’র পাশে হযরত খদীজাতুল কোবরা (রাঃ) যেমন ছিলেন তেমনিভাবে গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর পাশেও রূহানী আম্মাজান ছিলেন। সব বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং সাহস দিয়েছেন।
উনার শরীয়ত জীবনঃ শরীয়তের পূর্ণাঙ্গ অনুসরন করতেন জমানার রাবেয়া বসরী রূহানী আম্মাজান (রাঃ ) নামাজ , রোজা, যাকাত-ফিতরা, তাসবীহ-তাহলিল, জিকর-আজকার, তাহাজ্জুদ, এশরাক , আওয়্যাবিন, সালাতুত তাসবীহ, সালাতুত তাওবা ইত্যাদি নাওয়াফেল এবাদত করা এবং রিয়াজত করা উনার দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ্ । বর্তমানের মত ফিৎনা-ফাসাদের যুগে উনি এমন পর্দা করে চলতেন, যেভাবে চলেছিলেন হযরত রাবেয়া বসরী (রাঃ) । উনার জীবনীতে দেখা যায় যে একদা তিনি ঘরের দরজায় বসে কান্না করতে লাগলেন। উনাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন যে আমার একটি মাটির বদনা ছিল্, সেটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমি কান্না করতেছি। তখন উপস্থিত মহিলারা বললেন বদনা ভেঙ্গে গেলে কি কাঁদতে হয়? বাজারে তো শত শত বদনা পাওয়া যায়। তিনি বললেন, বদনা ক্রয় করার ভয়ে আমি কাঁদতেছিনা। বরং আমি কাঁদতেছি এজন্য যে, এতদিন পর্যš— আমি রাবেয়ার সতর তথা লজ্জাস্থান দেখেছে একটি বদনা কিন্তু আজ থেকে নতুন একটি বদনা আমার সতর দেখবে! সে রাবেয়া বসরী (রাঃ)’র মত পর্দা করে চলতেন আমাদের রূহানী আম্মাজান। তাইাতো তিনি রাবেয়াতুজ জমান (জমানার রাবেয়া বসরী। আমাদের রূহানী আম্মাজানের শৈশব কাল থেকে ইšে—কাল পর্যš— পুরো জিন্দেগী ছিল ইসলামী জিন্দেগী ।
উনার তরিক্বত জীবনঃ জমানার রাবেয়া বসরী, , রূহানী আম্মাজান এর তরিক্বত জীবন ছিল সোনালী জীবন। কারণ জন্ম থেকে বৈবাহিক জীবনের আগ পর্যš— তিনি ছিলেন হযরত আবদুল হামিদ বোগদাদী (রাঃ) ’র বিশিষ্ট খলিফা, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, অলিয়ে কামেল, আশেকে রাসুল আলাামা র“হুল আমিন (রাঃ) এর তত্ত¡াবধানে এবং উনার ছোহবতে। শরীয়ত ও তরিক্বতের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক জ্ঞান উনার নিকট হতে অর্জন করেন। আর বৈবাহিক জীবন থেকে ইšে—কাল পর্যš— ছিলেন কালের আরেফকুল শিরমণি, অলিকুল সর্দার “জমানার গাউছুল আজম” মাদ্দাজিলুহুল আলী এর তত্ত¡াবধানে, ছোহবতে ও খেদমতে। তিনি তরিক্বত জীবন শুর“ করেছেন খাজায়ে বাঙ্গাল, কুতুুবুল এরশাদ , সুলতানুল আউলিয়া হাফেজ মুনির উদ্দীন নুর“লাহ (রাঃ) এর হাত মোবারকে আর শেষ করেছেন উনারই খলিফা সুলতানুল আউলিয়া “জমানার গাউছুল আজম” মাদ্দাজিলুহুল আলীর হাত মোবারকে। মাঝখানে আপন কোল মোবারকে লালন-পালন করেছেন “জমানার গাউছুল আজম” মাদ্দাজিলুহুল আলীর একমাত্র খলিফা, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত, পীরে মোকাম্মেল, মোর্শেদে বরহক, পেশওয়ায়ে আহলে সুন্নাত, হযরতুলহাজ্ব আলামা ছৈয়্যদ শাহ ছাহেব কেবলায়ে আলম মাদ্দাজিলুহুল আলী ছাহেবকে। এককথায় অলীয়ে কামেলের ঘরে জন্ম, গাউছুল আজমের ঘরে সংসার, পীরে মোকাম্মেল ও মোর্শেদে আজম এর কোল মোবারকে ইšে—কাল, উনার হাতে দাফন-কাফন এবং উনার ইমামতিতে জানাযা। এক সুলতানুল আউলিয়া (হযরত হাফেজ মুনির উদ্দীন নুর“লাহ (রাঃ) ) এর হাত মোবারকে তরিক্বত জীবনের শুর“ আর আরেক সুলতানুল আউলিয়া (জমানার গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুুহুল আলী) এর হাত মোবারকে তরিক্বত জীবনের শেষ।
উনি আধ্যাত্মিক মহিয়সী রমণীঃ নিঃসন্দেহে রূহানী আম্মাজান ছিলেন জমানার রাবেয়া বসরী ও আধ্যাত্মিক মহিয়সী রমণী। ইšে—কালের পরে উনার অনেক কারামত প্রকাশ পেয়েছে যা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে তিনি উচ্চ ¯—রের একজন অলিয়া। যেমন-চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার অš—র্গত উত্তর মাদার্শা নিবাসী জনৈক ব্যক্তি (যার নাম-ঠিকানা ও বক্তব্য আমাদের কেন্দ্রীয় ইনডে·ে আছে) বলেছেন-বিগত ২১শে রমজান, ১৪২৯হিজরী, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ইং রোজ সোমবার আমার স্ত্রী ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে আমাকে বলছে, ওহে শোন; শোন;; এখনই আমাদের বাসায় (সীতাকুন্ডু, চট্টগ্রাম) জমানার রাবেয়া বসরী তশরীফ এনেছেন। আমি বললাম রূহানী আম্মাজান তো ইšে—কাল করেছেন। আমার স্ত্রী বলল উনিতো আমাকে ঘুম জাগরিত করে তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য বলে চলে গেলেন। ইšে—কালের পর জিন্দা থাকা নিঃসন্দেহে উচ্চ ¯—রের অলীর আলামত। যা উনাকে দাপন করার সময় প্রমাণ করেছেন। উনাকে যখন কবর শরীফে শোয়ানোর হল তখন শেষ পর্যায়ে উনার দৌহিত্র আলহাজ্ব মৌলানা সোলায়মান ছাহেবকে বলা হল উনার চেহারা মোবারক কিবলামুখী করার জন্য, উনি কফিন মোবারকের গিট খুলে দেখতে পেলেন উনার চেহারা মোবারক কিবলামুখীই হয়ে আছেন। তিনি বললেন- আমি কি আর উনার চেহারা মোবারক কিবলামুখী করে দেব! উনি তো নিজে নিজেই কিবলামুখী হয়ে গেলেন (ছোবহানালাহ)।
আমাদের আরেক মহিলা তরিক্বতপন্থি বলেছেন (যার সম্পূর্ণ তথ্য আমাদের কেন্দ্রীয় ইনডেক্্ের জমা আছে) বিগত ২মাস আগে আমার ভীষণ অসুখ, কোন ডাক্তারী ঔষুধে কাজ না হওয়াতে আমি আমার আব্বাকে বললাম-আমি গাউছুল আজমের দরবারে যাব, আমার আব্বা আমাকে গাউছুল আজমের দরবারে নিয়ে গেলে আমি দরবারের অন্দর মহলে জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজানের সাথে সা¶াৎ করলাম তিনি আমার জন্য দোয়া করলেন। কি›তু বাসায় আসার পর আমার অসুখ হঠাৎ আরো বেড়ে গেলে আব্বা বললেন গাউছুল আজমকে স্মরণ কর, উনার উছিলা নিয়ে আলাহ তায়ালার কাছে দোয়া কর । এমতাবস্থায় আমার পাশে আমার নানী ও আমার বোন বসা ছিলেন, হঠাৎ আমি দেখতে পেলাম লম্বা গোমটা বিশিষ্ট একটি সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায় আমার সামনে জমানার রাবেয়া বসরী রূহানী আম্মাজান উপস্থিত হলেন, আমার মাথায় ও পিঠে হাত মোবারক বুলালেন আর সারা রাত আমার পাশে ছিলেন। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ অনুভব করলাম আর রূহানী আম্মাজান ভোর হওয়া মাত্রই অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
এছাড়া খবরে মোতাওয়াতের মত হাজার হাজার মুসলমান রূহানী আম্মাজানের জানাযার নামাজ আদায় কালে দেখেছেন যে, যখন উনার কফিন মোবারক কাগতিয়া মাদরাসার ময়দানে প্রবেশ করা হল দেখা গেল একটি তারকা উনার কফিন মোবারক বরাবর অতি নিচে মিট মিট করতে লাগল। যত¶ণ কফিন মোবারক মাঠে ছিল তত¶ণ পর্যš— ঐ তারকাটি ছিল। রূহানী আম্মাজানের কফিন মোবারক নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ওটাও অদৃশ্য হয়ে গেল আবার অনেকে দেখেছেন যে রূহানী আম্মাজানকে দাফন করার সময় মাজার শরীফের সোজা উপরেও ঐ তারকাটি ছিল। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে হযরত উসাইদ বিন খোজাইর পবিত্র কোরআন পাঠকালে আসমানের তারকারাজি দেখে আমার প্রিয় নবী (দঃ) কে জিজ্ঞেস করলে আমার নবী (দঃ) এরশাদ করেন এই গুলি ছিল রহমতের ফেরেশতা। তাহলে রূহানী আম্মাজান আলাহর এমন প্রিয় বান্দী ছিলেন এবং আমার নবী (দঃ) এর এমন আশেকা ছিলেন যে উনার জনাযায় আলাহর রহমতের ফেরেশতা আগমন করেছেন যেভাবে আগমন করেছিলেন হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ) এর জানাযায়।
এছাড়া খবরে মোতাওয়াতের মত হাজার হাজার মুসলমান রূহানী আম্মাজানের জানাযার নামাজ আদায় কালে দেখেছেন যে, যখন উনার কফিন মোবারক কাগতিয়া মাদরাসার ময়দানে প্রবেশ করা হল দেখা গেল একটি তারকা উনার কফিন মোবারক বরাবর অতি নিচে মিট মিট করতে লাগল। যত¶ণ কফিন মোবারক মাঠে ছিল তত¶ণ পর্যš— ঐ তারকাটি ছিল। রূহানী আম্মাজানের কফিন মোবারক নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ওটাও অদৃশ্য হয়ে গেল আবার অনেকে দেখেছেন যে রূহানী আম্মাজানকে দাফন করার সময় মাজার শরীফের সোজা উপরেও ঐ তারকাটি ছিল। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে হযরত উসাইদ বিন খোজাইর পবিত্র কোরআন পাঠকালে আসমানের তারকারাজি দেখে আমার প্রিয় নবী (দঃ) কে জিজ্ঞেস করলে আমার নবী (দঃ) এরশাদ করেন এই গুলি ছিল রহমতের ফেরেশতা। তাহলে রূহানী আম্মাজান আলাহর এমন প্রিয় বান্দী ছিলেন এবং আমার নবী (দঃ) এর এমন আশেকা ছিলেন যে উনার জনাযায় আলাহর রহমতের ফেরেশতা আগমন করেছেন যেভাবে আগমন করেছিলেন হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ) এর জানাযায়।
ছোহবতে আউলিয়াঃ জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান সাংসারিক ও বৈবাহিক জীবনে পদার্পন করার পূর্বে অলিয়ে কামেল আলামা র“হুল আমিন (রাঃ) এর ছোহবতে ছিলেন এবং সাংসারিক জীবন থেকে ইšে—কাল পর্যš— কালের আরেফকুল শিরমণি, অলিকুল সর্দার “জমানার গাউছুল আজম” মাদ্দাজিলুহুল আলী এর তত্ত¡াবধানে, ছোহবতে ও খেদমতে ছিলেন। আর উনার উদরে জন্মগ্রহন করেছেন ও উনার কোলে লালিত-পালিত হয়েছেন “জমানার গাউছুল আজম” মাদ্দাজিলুহুল আলীর একমাত্র খলিফা, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত, পীরে মোকাম্মেল, মোর্শেদে বরহক, পেশওয়ায়ে আহলে সুন্নাত, হযরতুলহাজ্ব আলামা ছৈয়্যদ শাহ ছাহেব কেবলায়ে আলম মাদ্দাজিলুহুল আলী ছাহেব।
উনার ইšে—কালঃ জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান ৩রা রমজান, ১৪২৯ হিজরী রোজ বৃহস্পতি বার ইšে—কাল করেছেন এবং নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে শবে জুমা বাদে নামাজে এশা। আর দাফন কাজ স¤পন্ন করা হয়েছে শবে জুমা ১০টার পর। রূহানী আ্ম্মাজান (রাঃ) এর ইšে—কাল হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে, যে মাসে ইšে—কাল করেছেন উম্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ), হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) আর যে রাতে জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়েছে উহা ছিল শবে জুমা অর্থাৎ জুমার রাত। যে রাত সম্পর্কে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রাঃ) বলেছেন যে, শবে জুমা মর্যাদার দিক দিয়ে শবে কদর হতে উত্তম। কেননা ঐ রাতে আক্বা ও মওলা মোহাম্মদুর রাসুলুলাহ (দঃ) এর নূর মোবারক উনার (দঃ) আব্বাজান (রাঃ) এর কপাল মোবারক থেকে আম্মাজান (রাঃ) এর বতন মোবারকে স্থানাš—রিত হয়। জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্ম্জাান (রাঃ) এর বিদায়টা হয়েছে একজন জান্নাতী রাজকন্যার মত। কেননা যে বৃহস্পতিবার কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে তরিক্বতের সাপ্তাহিক মাহফিল তথা জিকর-আজকার, ফয়জে কোরআন ও তরিক্বতের ছবক প্রদান, সালাত ও সালাম, মিলাদ-কিয়াম ইত্যাদি আদায়সহ মেহমান ও তরিক্বতপন্থিদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয় সে দিনই উনার ইšে—কাল। তার মানে প্রতি বৃহস্পতি বার রূহানী আম্মাজান (রাঃ) এর অঘোষিত ফাতেহা শরীফ। আর যে রাতে নবী করীম (দঃ) এর নূর মোবারক আব্বাজানের কপাল মোবারক থেকে আম্মাজানের রেহেম মোবারকে স্থানাš—রিত হয় সে রাতেই রূহানী আম্মাজান পৃথিবী জমিন থেকে পরকালে স্থানাš—রিত হন,সৃষ্টি জগত ত্যাগ করে মহান প্রভুর দরবারে তশরীফ নেন।
উনার ঐতিহাসিক জানাযাঃ রূহানী আম্মাজান যে জমানার রাবেয়া বসরী, তার অন্যতম একটি দলীল হল ওনার ঐতিহাসিক জানাযা। যে জানাযায় কোন এলান-প্রচার ছাড়াও ল¶াধিক মুসলমান এর সমাগম হয়েছে। উনার এ ঐতিহাসিক জানাযা আমি গুনাহগার যতটুকু জানি ততটুকু আপনাদের সামনে পেশ করলাম।
উনার ঐতিহাসিক জানাযাঃ রূহানী আম্মাজান যে জমানার রাবেয়া বসরী, তার অন্যতম একটি দলীল হল ওনার ঐতিহাসিক জানাযা। যে জানাযায় কোন এলান-প্রচার ছাড়াও ল¶াধিক মুসলমান এর সমাগম হয়েছে। উনার এ ঐতিহাসিক জানাযা আমি গুনাহগার যতটুকু জানি ততটুকু আপনাদের সামনে পেশ করলাম।
কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ হতে মৌখিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হল যে, রূহানী আম্মাজনের নামাজে জানাযা রাত ১০টায় কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। তাই মাগরিবের নামাজ আদায় করে আমরা বেশ কয়েকজন দরবার শরীফ হতে কাগতিয়া মাদরাসায় চলে আসলাম। এসে দেখলাম মাগরিবের পর থেকে দলে-দলে লোকজন আসতে শুর“ করল, রাত ৮টা হতে না হতেই প্রায় ৩০হাজারের মত মানুষ মাদরাসা ময়দানে উপস্থিত। এশা ও তারাবিহ এর নামাজ মসজিদে, মাদরাসার বারান্দায়, হল র“মে, ছাদে কোন রকমে আদায় করলেন। রাত ৯টা হতে না হতেই কাগতিয়া মাদরাসার বিশাল মাঠ কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে গেল। তাৎ¶ণিক আসা লোকজনকে কাতারবন্দী হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে সবাই খুব ঘনভাবে কাতারে দাড়িয়ে গেলেন। আমার ধারনানুযায়ী এককাতারে প্রায় একহাজারের বেশী মানুষ হবে, যারা খুব ঘনভাবে দন্ডায়মান হলেন। এভাবে কাগতিয়া মাদরাসার ময়দানের মূল চত্বরে আমার জানা মতে ৬০টি কাতার হয়েছে। এর পরেও মসজিদের ময়দানে, মাদরাসার বারান্দায়, মাঠের বাইরে খোলা জায়গায়, রা¯—ায় যে যেখানে পা রাখার সুযোগ হয়েছে সেখানে দাড়িয়ে গেলেন। মানুষের ভিড়ের কারণে যারা কাছে আসতে পারেনি তারা দোকানের বারান্দায়, গাড়ীর ভিতরে, গাড়ীর ছাদে নামাজ আদায়ের নিয়তে দাড়িয়ে গেলেন। যখন রূহানী আম্মাজানের কফিন মোবারক আনা হল তখন মানুষের আহাজারি ও কান্নার রোলে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠল। আর মানুষের কান্নার সাথে সাথে তারকার আকৃতিতে মিট মিট করে হেসেছিলেন রহমতের ফেরেশতগণ, যেন তাদের গ্রহনের পালা আর আমাদের বিদায় দেয়ার পালা, তারা কি যেন পাচ্ছেন আর আমরা হারিয়ে ফেলছি। যেন খোদার রাজ দরবারে শাহী লেবাস পরে মোহাম্মাদুর রাসুলুলাহ (দঃ) এর রূহানী রাজকন্যা চলে যাচ্ছেন। ঠিক রাত ১০টার সময় জানাযার নামাজ অনুষ্টিত হয়, যে নামাজের ইমামতি করলেন কাদেরীয়া তরিক্বতের এ আধ্যাত্মিক রাজকন্যার একমাত্র আধ্যাত্মিক রাজপুত্র, বিশ্বখ্যাত অরাজনৈতিক তরিক্বতভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া তবলীগ ও যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের মহামান্য সভাপতি ও এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শি¶া প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম, এ, মাদরাসার সুযোগ্য অধ্য¶ ও আধুনিক রূপকার, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের একমাত্র কর্ণধার ও গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর একমাত্র খলিফা, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিক্বত, পীরে মোকাম্মেল, মোর্শেদে বরহক, পেশওয়ায়ে আহলে সুন্নাত, হযরতুলহাজ্ব আলামা ছৈয়্যদ শাহ ছাহেব কেবলায়ে আলম মাদ্দাজিলুহুল আলী।
এ মহিয়সী রমণীর মাজার শরীফ দোয়া কবুল হওয়ার জায়গাঃ আকাইদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতে বিশ্বাসী সকল সুন্নী মুসলমান একমত যে, রাহমাতুলিল আলামিন (দঃ) এর রওজা মোবারক, সম¯— আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস্ সালাম, ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তব-ঈ-তাবেঈন (রাঃ) সহ প্রত্যেক আলাহর নৈকট্যবান বান্দাগনের মাজার দোয়া মকবুল হওয়ার জায়গা। ছাহেবে মাজার যদি আলাহর প্রিয় বান্দা এবং রাসুলের প্রিয় উম্মত হয়ে থাকেন তাহলে ঐ মাজার দোয়া মকবুল হওয়ার জায়গা। আমাদের রূহানী আম্মাজান যেহেতু জমানার রাবেয়া বসরী, ফাতেমায়ে ছানী সেহেতু উনার মাজার শরীফ দোয়া মকবুল হওয়ার উত্তম জায়গা। তার প্রমাণ রাউজান থানার কাগতিয়া কাসেম নগর নিবাসী জনৈক ব্যক্তি (যার নাম, ঠিকানা ও বক্তব্য আমাদের কেন্দ্রীয় ইনডেক্্ের জমা আছে) বলেন, আমি তিন-চার মাস যাবৎ ভিসার জন্য চেষ্টা করি কিন্তু ভিসা হলেও এগ্রিমেন্ট হচ্ছেনা বিধায় আমি সহ পরিবারের সবাই হতাশ হয়ে পড়লাম। জমানার রাবেয়া বসরী রূহানী আম্মাজানের ওফাতের একদিন পর হুজুর কেবলায়ে আলম মাদ্দাজিলুহুল আলী এর পিছনে দাড়িয়ে জিয়ারত করে মোনাজাতে বললাম, হে আলাহ! এ মাজার শরীফে আমার প্রথম আগমনে একটিমাত্র আরজ-এ জমানার রাবেয়া বসরীর উছিলায় আমার ভিসা ও এগ্রিমেন্ট অতিসত্তর মিলিয়ে দাও। আলাহর কি দয়া! এর পরের দিন আমার ভাই ফোনে আমাকে জানালেন যে, আমার ভিসা ও এগ্রিমেন্ট হয়ে গেছে। তিনি উহা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যেমন-হযরত আবুল ফাতাহ ছমরকন্দী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আমির“ল মোমেনীন ফিল হাদীস হযরত ইমাম বোখারী (রাঃ) এর ওফাতের দুই বৎসর পর ছমরকন্দের মধ্যে অনাবৃষ্টি হয়। সমরকন্দের লোকেরা সালাতুল এসতেস্কা আদায় করার পরেও বৃষ্টি না হলে একজন অলী সমরকন্দের গভর্নরকে পরামর্শ দিলেন হযরত ইমাম বোখারী (রাঃ) এর মাাজার শরীফে গিয়ে জিয়ারত করে উনার উছিলা নিয়ে বৃষ্টির জন্য আলাহর দরবারে কান্নাকাটি কর“ন। ঐ অলীর পরামর্শ অনুযায়ী গভর্নর লোকজনকে নিয়ে ইমাম বোখারী (রাঃ) এর মাজার শরীফ জিয়ারত করে উনার উছিলা নিয়ে উনার মাজারে আলাহর দরবারে কান্নাকাটি করে মোনাজাত করার সাথে সাথে বৃষ্টি নাযিল হল ্এবং অনবরত সাত দিন যাবত বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল (ছোবহানালাহ)। আমাদের রূহানী আম্মাজান ছিলেন মো¯—াজাবাতুদ-দাওয়াত। কেননা অসংখ্য প্রমাণ আছে যে, মহিলারা উনার কাছে দোয়া চেয়েছে আর উনিও দোয়া করেছেন, দেখা গেল আলাহ তায়ালা সাথে সাথে কবুল করেছেন। সুতরাং ইšে—কালের পরে তো আরও বেশী কবুল হবে। কারণ ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) এর মতে আলাহর নেককার বান্দাদের ¶মতা ইšে—কালের পর অধিক হারে বেড়ে যায়।
মহান মনিষীদের উক্তিঃ(ক) আমাদের রূহানী আম্মাজান জমানার রাবেয়া বসরী, ফাতেমায়ে ছানী (রাঃ) সুলতানুল আউলিয়া, খাজায়ে বাঙ্গাল, কুতুবুল এরশাদ, হাফেজ মুনিরুদ্দীন নুর“লাহ (রাঃ) এর নিকট হতে তাওয়াজ্জুহ বিল গায়েবের মাধ্যমে ছয়টি ছবক নিয়েছেন। রূহানী আম্মাজান যখনই নিয়্যত করে বসতেন তখনই বেহুশ হয়ে যেতেন। এ প্রে¶িতে হাফেজ মুনিরুদ্দীন নুর“লাহ (রাঃ) বলেছেন, ‘‘মাওলানা অমুকের (গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী) বিবির (রূহানী আম্মাজান) থেকে কি ছগীরা গুণাহও ছাদের হয়না? আমি এদিকে তাওয়াজ্জুহ বিল গায়েব দেওয়ার জন্য নিয়্যত করলে তিনি যে ঐদিকে বেহুশ হয়ে যান।”
(খ) গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী ছাহেব এর বাণীঃ
আমার সহধর্মিণী আমাকে তরিক্বত ও মাদরাসার ব্যাপারে আমার ডান হাতের ন্যায় সাহায্য করেছে। আমি আজ একজন বড় সাহায্যকারীকে হারিয়েছি। হে আলাহ তা’য়ালা! তাকে মনজিলে মকছুদে পৌঁছিয়ে দিন।
(গ) মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী ছাহেব এর বাণীঃ
পুর“ষ তরিক্বতপন্থিদের মধ্যে যাদের প¶ে সম্ভব হয়, তারা নিয়মিত রূহানী আম্মাজান (রাঃ) এর মাজার শরীফ জিয়ারত ও কোরআনে করীম তেলাওয়াত করবেন। আর যাদের প¶ে সম্ভব নয় তারা এবং মহিলা তরিক্বতপন্থি নিয়মিত ফাতেহা শরীফ পাঠ করে উনার রূহ মোবারকে ঈছালে ছওয়াব করবেন।
পরিশেষে মহান আলাহর দরবারে, রাহমাতুলিল আলামিনের উছিলায় এবং আশেকে রাসুল জমানার গাউছুল আজমের খুলুছিয়তের বরকতে জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান (রাঃ) এর রফ-এ-দরজাত ও জান্নাতের আ’লা মকাম প্রার্থনা করি এবং উনার ছায়া ও যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান রূহানী আম্মাজানের হায়াতে খিজরীয়া ও বিমার শেফা কামনা করি। আমিন! ছুম্মা আমিন!! বেহুরমতে ছৈয়্যদিল ্মুরসালিন।
আমার সহধর্মিণী আমাকে তরিক্বত ও মাদরাসার ব্যাপারে আমার ডান হাতের ন্যায় সাহায্য করেছে। আমি আজ একজন বড় সাহায্যকারীকে হারিয়েছি। হে আলাহ তা’য়ালা! তাকে মনজিলে মকছুদে পৌঁছিয়ে দিন।
(গ) মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী ছাহেব এর বাণীঃ
পুর“ষ তরিক্বতপন্থিদের মধ্যে যাদের প¶ে সম্ভব হয়, তারা নিয়মিত রূহানী আম্মাজান (রাঃ) এর মাজার শরীফ জিয়ারত ও কোরআনে করীম তেলাওয়াত করবেন। আর যাদের প¶ে সম্ভব নয় তারা এবং মহিলা তরিক্বতপন্থি নিয়মিত ফাতেহা শরীফ পাঠ করে উনার রূহ মোবারকে ঈছালে ছওয়াব করবেন।
পরিশেষে মহান আলাহর দরবারে, রাহমাতুলিল আলামিনের উছিলায় এবং আশেকে রাসুল জমানার গাউছুল আজমের খুলুছিয়তের বরকতে জমানার রাবেয়া বসরী, রূহানী আম্মাজান (রাঃ) এর রফ-এ-দরজাত ও জান্নাতের আ’লা মকাম প্রার্থনা করি এবং উনার ছায়া ও যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান রূহানী আম্মাজানের হায়াতে খিজরীয়া ও বিমার শেফা কামনা করি। আমিন! ছুম্মা আমিন!! বেহুরমতে ছৈয়্যদিল ্মুরসালিন।
No comments